somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'সন্ত্রাস' ও একজন কিংবদন্তী হুমায়ুন ফরিদি'কে পাওয়ার গল্প -

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আর কদিন পর আসছে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি যা বাংলার মানুষের প্রিয় ঋতু বসন্তের ১ম দিন বা ১লা ফাল্গুন । এই পয়লা ফাল্গুনেই আমরা গত বছর হারিয়েছিলাম বাংলাদেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি’কে । আমার কাছে এই প্রিয় অভিনেতা জড়িয়ে আছেন অনেক অনেক ভালোলাগা ,আনন্দের স্মৃতি হয়ে যা কোনদিন ভুলার নয় । তাই প্রিয় অভিনেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমার অগ্রিম শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে আজকের এই বিশেষ লিখাটি দিলাম যার পরবর্তী লিখাটি পাবেন ১৩ ই ফেব্রুয়ারিতে । আজ দিলাম বাণিজ্যিক ছবিতে হুমায়ুন ফরিদির রাজসিক আগমনের গল্পটা যা অনেকের আজো অজানা রয়ে গেছে ।

বাণিজ্যিক ধারার সামাজিক অ্যাকশন ছবির জমজমাট ৮০র দশক পার হয়ে শুরু হলো ৯০ দশক । সেই ৯০ দশকের শুরুতেই বাংলা চলচ্চিত্রে আবির্ভাব হয় হুমায়ুন ফরিদি নামক জনপ্রিয় একজন টেলিভিশন নাট্যঅভিনেতার । যিনি মাত্রই শেষ করে এসেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন এর জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক শহিদুল্লাহ কায়সার এর রচিত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নাট্যরূপ ‘সংশপ্তক’ । যে নাটকে ফরিদি ছিলেন মিয়া বাড়ির প্রধান মিয়ার বেটার (খলিলুল্লাহ খান) এর ঘনিষ্ঠ সহচর, খাস লোক বা বিশ্বস্ত ‘হুকুমের গোলাম’ রমজান । যিনি পরবর্তীতে গ্রামের হুলমতি
নামক এক অসহায় দরিদ্র নারীর উপর লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন যার ফলে হুলমতি প্রতিশোধ নিতে রমজানের ডান কান কেটে ফেলে। রমজান হয়ে যায় ‘কান কাটা রমজান’ । সেই ‘কান কাটা রমজান’ এতটাই জনপ্রিয় ও আলোচিত হয় যে টিভি নাটকের ব্যস্ত ফরিদির বাংলা চলচ্চিত্রে সুযোগ আসে খল চরিত্রে অভিনয় করার ।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ধারার ছায়াছবির জনপ্রিয় ও ব্যস্ত পরিচালক
শহিদুল ইসলাম খোকন বরাবরের মতো চিত্রনায়ক রুবেল কে নিয়ে ‘সন্ত্রাস’ ছবিটি নির্মাণ শুরু করতে যাবেন । ছবির শুটিং শুরু করার আগে পরিচালকের মাথায় হঠাৎ খেয়াল চাপে
জনপ্রিয় ‘কান কাটা রমজান’ অর্থাৎ হুমায়ুন ফরিদি কে ছবির প্রধান খলনায়ক হিসেবে
নিবেন । কিন্তু ফরিদির চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এর আগে মাত্র একটি তাও সেটা মুল ধারা বাণিজ্যিক ছবির বাহিরে যার নাম ছিল ‘দহন’। ছবিটি ব্যবসায়িক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল কিন্তু সমালোচকদের প্রশংশা অর্জন করেছিল । তাই ফরিদি কে খলনায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রের দর্শক কিভাবে নিবে সেটাও ছিল একটি চিন্তার বিষয়। কারন তখন চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে রাজীব, এটিএম শামসুজ্জামান , আহমেদ শরীফ, খলিলুল্লাহ খান , মিজু আহমেদ, রাজ, মাহবুব খান , ড্যানি সিডাক দারুন ব্যস্ত এবং সবাই সফল । এমতাবস্থায় জনপ্রিয় খলনায়কদের ছাড়া রুবেল ের মতো মার্শাল আর্ট হিরোর ছবিতে টেলিভিশন ের একজন অভিনেতাকে নির্বাচন করাটাও বিরাট ঝুঁকি । কারন রুবেল সেই সময় একের পর এক ছবি দিয়ে বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন যার সাথে নিয়মিত খলনায়ক থাকতো খলিল, ড্যানি সিডাক , ইলিয়াস কোবরা যাদের দর্শক গ্রহন করেছিলেন বেশ ভালোভাবেই । এমতাবস্থায় রুবেল ের বিশাল ভক্ত ও বাংলা ছায়াছবির নিয়মিত বিশাল সংখ্যাক দর্শক ফরিদি কে গ্রহন করবেন কিনা সেটা ছিল মুল ভাবনার বিষয় । সবশেষে পরিচালক খোকন আলপনা চলচ্চিত্রের কর্ণধার প্রযোজক আজিজুল হক পুটুর সাথে একরকম চ্যালেঞ্জ নিয়েই ফরিদিকে ছবিতে মুল খলনায়ক হিসেবে নির্বাচন করেন । প্রযোজক আজিজুল হক পুটু শহিদুল ইসলাম খোকন ের উপর আস্থা রেখেছিলেন কারন ের আগে এই শহিদুল ইসলাম খোকন রুবেলের একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন প্রয়োজক আজিজুল হক পুটুকে। সেই সুত্রে খোকনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা তিনি করেননি। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে খোকন যে সময়টায় ফরিদি কে ছবির মুল খলনায়ক হিসেবে নির্বাচন করলেন তাঁর মাত্র কিছুদিন আগেই টেলিভিশন ের আলোচিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ শেষ হয়েছে। ফলে সেই ‘কান কাটা রমজান’ এর রেশটা দর্শকদের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল। আর সেই জনপ্রিয়তার রেশের উপর ভিত্তি করেই খোকন একটা ঝুঁকি নিয়েই নিলেন। ছবিতে আরেক জন নায়ক হিসেবে জাফর ইকবাল কে নির্বাচন করেন যেটি ছিল নায়ক জাফর ইকবালরেও খোকন - রুবেল এর সাথে প্রথম কাজ । শুরু হলো ‘সন্ত্রাস’ ছবির কাজ । এরপর মুক্তি পাওয়ার আগে টেলিভিশনে ছবির বিজ্ঞাপনে দর্শক দেখতে পায় তাদের জনপ্রিয় অভিনেতা কান কাটা রমজান হিসেবে খ্যাত প্রিয় ফরিদিকে । ট্রেলার দেখেই ছবিটি সম্পর্কে দর্শকদের আগ্রহ বেড়ে যায় । ট্রেলারটি ছিল এইরকম - ফরিদি নতুন গ্যাঁট আপ কাঁচা পাকা ছোট চুল ও চোখে চশমা , পাঞ্জাবি পায়জামা পরিহিত কোন রাজনৈতিক নেতার মতো উত্তেজিত ভঙ্গিমায় সংলাপ বলছে, দৌড়ে এসে রুবেল তিন চারজনকে তাঁর কংফু স্টাইলে লাথি মারছে , এক পা খোঁড়া জাফর ইকবাল এর গানের অংশ ‘ভিক্ষা চাইনা মেম সাহেব কুত্তাটা সামলাও’ এবং সবশেষে সমুদ্রের মাঝখানে একটি জাহাজ বিস্ফোরণ এর দৃশ্য দেখিয়ে
গাজী মাজহারুল ইসলাম এর কণ্ঠে বলা হয় শহিদুল ইসলাম খোকন এর ‘সন্ত্রাস’ ।
ট্রেলার দেখে বরাবরের রুবেল ভক্তরা ছবিটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে ।
অবশেষে ১৯৯১ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পেলো ‘সন্ত্রাস’ ছবিটি সারাদেশে । প্রথম দিনেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় ছবিটি দেখার জন্য। টিকেট না পেয়ে উছ্রিংখল দর্শকদের হলের বাহিরে সংঘর্ষ । হল থেকে ছবি দেখার পর দর্শকদের মুখে মুখে শুধুই ‘ফরিদি ,ফরিদি’ শ্লোগান ।
ছবিটির গল্প ১৯৭১ সালের ২০ শে জুলাই মুক্তিযুদ্ধচলাকালিন সময়ে মুক্তাঙ্গনের খোঁজে শরণার্থীরা যখন ঘুরছিলেন নিরাপদ আশ্রয় এর জন্য । সেই যুদ্ধে ফরিদি থাকে পাক হানাদারদের দোসর । ফরিদির নাম জুলমত আলী খান যার নামের ব্যাখ্যা ফরিদি প্রথম দর্শনেই দিয়েছিলেন এভাবে ‘জুলমত’ আমার নাম , ’আলী’ হলো বাপের পদবী আর ‘খান’ হলো ‘আব্বা হুজুরের অর্থাৎ পাকিস্তানী খানদের গোত্রের একজন সে তাই নাম জুলমত আলী খান । এভাবেই ছবিতে শুরু থেকেই ফরিদি কে দেখতে পায় দর্শক । প্রথম দর্শনেই পুরো হল জুড়ে দর্শকদের তুমুল করতালি যা ফরিদিকে সাদরে গ্রহন করার একটা প্রক্রিয়া মাত্র । সেই জুলমত আলী খান হলেন রাজাকার কমান্ডার । মুক্তাঙ্গন এর খোঁজে থাকা শরণার্থীদের পথিমধ্য মুক্তিযোদ্ধা সেজে বোকা বানায় ফরিদির লোকজন । শরণার্থীরা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন দেখে মুক্তিবাহিনী ভেবে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সবাই নৌকা থেকে নেমে যায়। এরপর সবাইকে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে একজন ,তিনি আর কেউ নন হুমায়ুন ফরিদি। সেই গুলিবিদ্ধদের মধ্য একজন আহত অবস্থায় মৃতের ভান করে থাকে যিনি জুলমত আলী খান এর চেহারাটা চিনে রাখেন । সেইসব শরণার্থীদের হত্তার পর সবার কাছে গচ্ছিত টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে যান ফরিদি অর্থাৎ জুলমত । এই ঘটনার কয়েক মাস পর অর্থাৎ বিজয়ের সন্ধিখনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সালাম ও তাঁর দুই বন্ধু রফিক ও বরকত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাকিস্তানগামি একটি জাহাজ ‘সালিমার’ কে বিধ্বস্ত করে যার মধ্য ছিল লুণ্ঠন করা ৫ টন সোনা ও আহত পাকিস্তানী সৈন্যরা। যে অপারেশন ের একটি নকশা তৈরি করেন কমান্ডার সালাম যিনি খোকন, জাফর ইকবাল ও রুবেল এর বাবা। রাতের অন্ধকারে বিস্ফোরিত জাহাজটির ভেতরে থাকা সেই মালামাল গুলো কোথায় ডুবে আছে তাঁর সঠিক স্থানটির তথ্য জানে সেই অপারেশন এর নেতৃত্বদানকারী মুক্তিযোদ্ধা সালাম যিনি নিজেই সেই নকশা তৈরি করেছিলেন । ১৬ ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফরিদি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়ে হয়ে যান একজন ‘সলিড মুক্তিযোদ্ধা’ ।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় সেই তিন মুক্তিযোদ্ধাদের কথা প্রকাশিত হয় যারা সেই ‘সালিমার’ জাহাজটি বিধ্বস্ত করেছিলেন । যার খবর ফরিদি জেনে যায় যেখানে ফরিদির জানা মতে ৫ টন স্বর্ণালংকার ছিল যার কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। ফলে ফরিদি ভেবে নেয় হয়তো সেই তিন মুক্তিযোদ্ধা জাহাজের ভেতরে থাকা স্বর্ণালংকার এর কথা জানে না। ফরিদির শুধু দরকার সেই জাহাজটির ডুবে যাওয়ার সঠিক স্থানটি কোথায় তা । খোকন, জাফর ইকবাল ও রুবেল এর পিতার কাছ থেকে নকশাটি ছিনিয়ে নিতে চায় ফরিদি , ফলাফল খুন। এরপর রুবেলের বাবার নকশাটি চার টুকরো ভাগে ছিঁড়ে তিনি স্ত্রী ও ছোট সন্তানদের হাতে তুলে দেন। পথিমধ্য রুবেল ও খোকন তাঁরা মা খালেদা আক্তার কল্পনা ও ভাই জাফর ইকবাল এর কাছ থেকে হারিয়ে যান । ফলে সেই নকশার একটি অংশ রয়ে যায় রুবেলের কাছে আর একটি অংশ রয়ে যায় খোকন এর কাছে এভাবেই শুরু হয় ছবিটির জমজমাট গল্প ।

যারা ছবিটি দেখেছিলেন তাঁরা বের হয়ে তাঁর পরিচিতদের কাছে ফরিদি’র প্রশংশায় পঞ্চমুখ । সেই প্রথম মিনিট থেকে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত ফরিদি ছিলেন দুর্দান্ত যা এক কথায় অসাধারন । যতবার ফরিদি পর্দায় হাজির হয় ততবারই দর্শকদের বিপুল করতালি । অর্থাৎ পুরো হল ফরিদিতে মগ্ন । ফলে রুবেল এর ভক্তরা ছাড়াও সেই সময়ে ‘সন্ত্রাস’ ছবিটি দেখতে অন্য নায়কদের ভক্তরাও ছবিটি দেখতে হলে ভিড় জমায় । যার ফলশ্রুতিতে ছবিটি হয়ে যায় রুবেলের আরও একটি সুপারহিট ছবি কিন্তু ছবির সাফল্যর পুরো কৃতিত্ব পায় শুধুই টেলিভিশন এর সেই ‘কান কাটা রমজান’ খ্যাত হুমায়ুন ফরিদি । এভাবেই বাংলা চলচ্চিত্রে শুরু হয় একজন অসাধারন অভিনেতা ও কিংবদন্তী হুমায়ুন ফরিদির শুভ সুচনা যার পরের ইতিহাসটা জমা থাক আরেকদিনের জন্য।
শহিদুল ইসলাম খাকন এর 'সন্ত্রাস'
লেখক ঃ ফজলে এলাহী পাপ্পু (কবি ও কাব্য)
একটি http://www.radiobg24.com এর নিবেদন ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
১৫টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×